আমার আমি



এটাই ছিল এমন একটা সময় যখন থেকে আমি নিজেকে চিনতে-জানতে শুরু করেছিলাম। নিজের মধ্যে আমি সেই সময় কিছু অন্ধকার দিক খুঁজে পেয়েছিলাম, যেমন- কোন পরিস্থিতিকে যদি আমি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারতাম তাহলে সেই পরিস্থিতি আমার কাছে অসহ্য বলে মনে হত।

আমি এখন উপলব্ধি করতে পারি যে নিজের বাড়ি থেকে দূরে থাকার কষ্ট ভোলার জন্য আমি অনেক উপায়, ব্যবস্থা অবলম্বন করার চেষ্টা করতাম। কিন্তু পরিস্থিতি এবং অভিজ্ঞতা দুটোই ছিল আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন। আর সেজন্যই আমার মধ্যে হতাশা জেগে উঠত।

আমি যেখানেই থাকতাম সেখানেই আমি চেষ্টা করতাম নিজস্ব, স্বস্তিদায়ক একটা পরিবেশ গড়ে তুলতে। 

এই জায়গাগুলো আমার কাছে সেই জায়গা ছিল যেখানে আমার নিয়ন্ত্রণ থাকত, আমি জোর গলায় বলতে পারতাম আমি এখানে খুব স্বাচ্ছন্দ্য
বোধ করছি।

একবার যখন আমি নতুন জায়গায় যেতাম তখন আমি উপলব্ধি করতাম যে আমায় অনেক বিষয়ের সঙ্গেই মানিয়ে নিতে হবে এবং সেগুলো অধিকাংশই অভ্যন্তরীণ। আমি কোন দিনও নতুন খাবারদাবার, নতুন সংস্কৃতি, নতুন মানুষজন নিয়ে তেমনভাবে ভাবনাচিন্তা করিনি। কিন্তু নিজের অন্তরে আমি একটা প্রশ্ন প্রায়শই নিজেকে করেছি যে আমি আসলে কে।

আমি একটা বিষয় উপলব্ধি করেছি যে জীবনে অভিজ্ঞতা অর্জনের মধ্য দিয়ে দায়িত্ববোধ গড়ে ওঠে বা নিজের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর পুনর্বিবেচনা করার ক্ষমতা জন্মায়। শেষমেশ আমার এটাই ধারণা হয়েছে যে নিজের চাহিদা, প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে পারিপার্শ্বিক পরিবেশের প্রত্যাশা পূরণের জন্য আমাদের উচিত সদা
সচেষ্ট হওয়া।

#আমার_আমি

Comments

Popular posts from this blog

মায়ের কোল থেকে প্রবাস—ভালোবাসার দূরত্ব নয়

প্রবাসীর জীবনে বাস্তব কিছু কথা…

একটা সাদা ফুলের গল্প