Posts

Showing posts from 2020

আমার আমি

Image
এটাই ছিল এমন একটা সময় যখন থেকে আমি নিজেকে চিনতে-জানতে শুরু করেছিলাম। নিজের মধ্যে আমি সেই সময় কিছু অন্ধকার দিক খুঁজে পেয়েছিলাম, যেমন- কোন পরিস্থিতিকে যদি আমি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারতাম তাহলে সেই পরিস্থিতি আমার কাছে অসহ্য বলে মনে হত। আমি এখন উপলব্ধি করতে পারি যে নিজের বাড়ি থেকে দূরে থাকার কষ্ট ভোলার জন্য আমি অনেক উপায়, ব্যবস্থা অবলম্বন করার চেষ্টা করতাম। কিন্তু পরিস্থিতি এবং অভিজ্ঞতা দুটোই ছিল আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন। আর সেজন্যই আমার মধ্যে হতাশা জেগে উঠত। আমি যেখানেই থাকতাম সেখানেই আমি চেষ্টা করতাম নিজস্ব, স্বস্তিদায়ক একটা পরিবেশ গড়ে তুলতে।  এই জায়গাগুলো আমার কাছে সেই জায়গা ছিল যেখানে আমার নিয়ন্ত্রণ থাকত, আমি জোর গলায় বলতে পারতাম আমি এখানে খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি। একবার যখন আমি নতুন জায়গায় যেতাম তখন আমি উপলব্ধি করতাম যে আমায় অনেক বিষয়ের সঙ্গেই মানিয়ে নিতে হবে এবং সেগুলো অধিকাংশই অভ্যন্তরীণ। আমি কোন দিনও নতুন খাবারদাবার, নতুন সংস্কৃতি, নতুন মানুষজন নিয়ে তেমনভাবে ভাবনাচিন্তা করিনি। কিন্তু নিজের অন্তরে আমি একটা প্রশ্ন প্রায়শই নিজেকে করেছি যে আমি আসলে কে। আমি একটা বিষয় উপলব্ধি করেছি যে জ...

আমার আমি

Image
আমি অতি সাধারন একটা মানুষ ……… … পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের কিছু আশা-আকাংখা থাকে, থাকে সীমাহীন স্বপ্ন। যেখানে সে তার জীবনকে সাজায় একিবারে নিজের মতোকরে। আমারো তেমন একান্ত কিছু স্বপ্ন আছে, যা আমাকে ভালো কিছু করার প্রেরনা যোগায়। জীবনে কখনো প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেব মেলানোর চেষ্টা করিনি, হিসেব মেলানোর কোনো ব্যর্থ চেষ্টাও আমার নেই। যেকোনো মুহুর্তকে সহজে গ্রহন করার মানসিকতা লালন করি আমি, জীবনকে সব সময় বুঝতে চেষ্টা করেছি অতি-স্বাভাবিক ভাবে। বন্ধুরা বলে আমি নাকি বিপদেও হাসতে পারি, আমি আসলে আপদ-বিপদ এর অর্থ খুঁজিনা। আমি বুঝতে চেষ্টাকরি এই পৃথিবীতে যা ঘটমান, তার সবই স্বাভাবিক। এখানে অস্বাভাবিক অথবা হতেইপারেনা নামক শব্দের কোনো স্থান নেই। ক্রম পরিবর্তনশীল পৃথিবীর সাথে আমিও পরিবর্তীত হচ্ছি অনবরত। আমি এখনো বিশ্বাস করি এই পৃথীবিতে ভালো মানুষের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি, যারা খারাপ কাজে লিপ্ত তারা কেবলি পরিস্থিতির শিকার। সব সময় আশীর্বাদ করি জগতের সকল ভালো মানুষ সুখে থাকুক, অন্যায়কারীর বিবেক জাগ্রত হোক। সৌন্দর্য্য গুলো দেহ ছাড়িয়ে মন পর্যন্ত পৌছে যাক, শুভহোক সকল মঙ্গল প্রয়াস…

ভালোবাসা ও আবেগের দিন

Image
ভালোবাসা, নরম তুলোর মত আবেগে মোড়ানো, ভাষায় প্রকাশ না করতে পারা স্পর্শকাতর এক তীব্র অনুভূতির নাম। রঙ, রূপ, গন্ধবিহীন এই তীব্র অনুভূতির এক অদ্ভুত ক্ষমতা আছে, আর সেটি অপরের প্রতি তীব্র আকর্ষণ। এই আকর্ষণের শক্তি এতটাই প্রবল যার টানে অপরকে পাশে পেতে মানুষ ছুটে যায় বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে, জয় করে সকল প্রতিকূলতাকে, পরিশ্রান্ত ক্লান্ত মানুষ ব্যস্ততা, ক্লান্তি ভুলে প্রিয়জনকে বলে “ভালোবাসি, ভালোবাসি...’’ কখন, কীভাবে, কোন মুহূর্তে ভালোবাসা মানুষকে ছুঁয়ে যায়, তা হয়তো সে নিজেও পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারে না। কোন বাধায়, শাসনে তাকে আটকে রাখা যায় না, ভালোবাসা আসবেই। কবি হেলাল হাফিজের কবিতার ভাষায়,“কোনদিন, আচমকা একদিন ভালোবাসা এসে যদি হুট করে বলে বসে,-‘চলো যেদিকে দুচোখ যায় চলে যাই’,যাবে?’’ ভালোবাসা এমনই, বাঁধনহারা। রাজা-বাদশাহ, ধনি-গরিব, কবি-সাহিত্যিক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ প্রত্যেকের জীবনে ভালোবাসার মাতাল করা সুবাস ছুঁয়ে গেছেই। সারা  বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মহাসমারোহে এদেশেও পালিত হয় “ভালোবাসা দিবস’’। প্রেমিক মনের কথা ভাষায়, উপহারে, চিঠিতে, লজ্জাবনত প্রিয়জনের কাছে প্রকাশ করার আ...

"আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে"

Image
বাঙালির চেতনায় চিরায়ত কাল থেকেই সন্তানের কল্যাণ কামনার বার্তা স্পষ্ট। বাংলার মায়েরা সন্তানের মঙ্গলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ সত্ত্বা। বাড়িতে, পথে, স্কুলে, পেশায়, সঙ্কটে ও সমস্যায় সন্তানের বিপদ দেখলে সবচেয়ে আগে এগিয়ে যিনি, তিনি আর কেউ নন, মা জননী। বাংলার মায়েদের তুলনা করা হয় ছায়াদায়িনী মহাবৃক্ষের সাথে। পাখির নিরাপদ ডানায় অসহায় শাবককে আগলে রাখার প্রতীক হলেন মা। মা বাংলার শিশু-কিশোরদের প্রথম শিক্ষক, পথ-নির্দেশক, জীবনের নির্মাতা ও নিরাপত্তার সংরক্ষক। বাংলার কবি ও শিল্পীরা মায়ের অম্লান ছবি অঙ্কন করেছেন আস্থা, নির্ভরশীলতা ও আশ্রয় হিসাবে। মায়ের কণ্ঠ দিয়ে উচ্চারণ করিয়েছেন অমর ধ্বনিমালা, যা সন্তানের সার্বিক নিরাপত্তা, ভবিষ্যৎ, মঙ্গল ও কল্যাণের বার্তাবহ। বাংলার মাতৃকুল সন্তানের জন্য বরাভয়ের অপর নাম। 'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে', হলো সন্তানের কল্যাণ, নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মায়ের এক চিরন্তনী ভাষ্য। বহুল ব্যবহৃত হলেও অনেকের জানা নেই, কোন কবির কলম দিয়ে এই অমর লাইনটি রচিত হয়েছে। উদ্ধৃতিটির রচয়িতা মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ প্রতিভা ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর। এই রচনাটির পেছনে চমৎ...

ফিরে দেখা প্রবাস জীবন

Image
প্রবাসে পাড়ি জমাব, কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি। জীবিকার তাগিদে গৃহ পরিজন ছেড়ে অগত্যা পরবাসের খাতায় নাম লিখাতে হলো। প্রথমদিকে ব্যাপারটা বনবাসের মতোই লাগত। একজন প্রবাসী প্রতিদিনই নিত্যনতুন ঘটনার সম্মুখীন হয়, অভিজ্ঞতার ভান্ডারও বৃদ্ধি পেতে থাকে সেই সঙ্গে। এভাবেই কেটে গেছে বেশ কয়েকটি বছর। প্রবাস জীবন শিখিয়েছে কীভাবে কিভাবে আশপাশে ঘটে যাওয়া অনেক কিছুকেই এড়িয়ে জীবনযুদ্ধে এগিয়ে যেতে হয়। নিরাশার অতল গহ্বরে হারিয়ে যাওয়া ছেলেটা হাতে হাত চেপে, চোখের নোনাজলকে উপেক্ষা করে বলতে শিখেছে, ‘আমি ভালো আছি মা, তোমরা ভালো আছো তো? ’ ভালো রান্নার খাবারও পছন্দ না করা সেই ছেলেই তামিল ইডলি, বডে এমনকি অনেক অখাদ্যকে অমৃত সুধা মনে করে খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে। সকালে ঘুম থেকে উঠাতে যাকে বাড়িশুদ্ধ লোককে ডাকাডাকি করতে হতো, প্রবাসী হবার কারণেই তাকে সূর্যিমামার আগেই জেগে উঠতে হয়। কর্মজীবীদের খেতে হয় এমন খাবার জ্বর-ঠান্ডাকে পেছনে ফেলে রোদ-বৃষ্টি পেছনে ফেলে এগিয়ে যায় স্বউদ্যমে একসময় বন্ধুদের নিয়ে অস্থির জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছেলেকে অন্য এক অস্থিরতায় পেয়ে বসে, আর তা হলো বিদেশে আসার ধারদেনা ফেরত ...

সিলেটে করোনা আক্রান্ত শিশুর দেখাশোনা করছেন ‘মা’

Image
সিলেটে করোনা আক্রান্ত শিশুর দেখাশোনা করছেন ‘মা’ করোনা রোগী শুনলেই কেউ কাছে আসে না। এমনকি আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ির কাছেও যায় না কেউ। এই মহামারিতে মারা গেলে পরিবারের স্বজনরা পর্যন্ত মুখ দেখতে চায় না। সন্তানরা পিতা-মাতার দাফনে অনুপস্থিত থাকে। করোনা আক্রান্ত সন্দেহে মাকে গহীন জঙ্গলে ফেলে আসে সন্তানরা। কিন্তু মা, তিনি-তো স্বর্গের দূত। তিনি করোনা আক্রান্ত সন্তানকে ফেলে যেতে চান না। আরও বড় কোনো রোগ কিংবা শোকে মা-ই আগলে রাখেন সন্তানকে। মায়ের মমতার আরেক অনন্য নজির স্থাপন করলেন বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের নালবহর গ্রামের এক ‘মা’। তার ৯ বছরের ছেলে সায়েম আহমদ এখন করোনা আক্রান্ত। সোমবার রাতে ওই ছেলের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। সায়েম এখন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। তার পিতা আবুল কালাম সম্প্রতি করোনায় মৃত একজনের সংস্পর্শে এসেছিলেন। আবুল কাশেম নামের ওই করোনা রোগী সিলেট সামসুদ্দীন হাসপাতালে মারা যান। আবুল কাশেম এবং আবুল কালাম ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। এ সুবাধে কালাম মৃত কাশেমের সাথে সরাসরি সংস্পর্শে যান। বর্তমানে কালাম কাশেমের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তিনি মাত্র একদিনের জন্য নিজ বাড়ি নালবহরে আসেন। আর এতে...

তোমার কাছে যাবো মা

Image
বাড়ির সামনে পথ। ঘুমিয়ে পড়েছে। শান্ত, নির্জন, যানহীন, জনহীন। পথ যেন প্রতিকৃতি। তাকে দেখে সময়ের অবস্থা বোঝা যায়। বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বাবা,বোন,ছোট ভাই ভাবে, এই ঘুম কবে ভাঙবে? এ সময় মুঠোফোন বাজে। সাত সমুদ্রের ওপার থেকে বড় ছেলে মামুন (আমি) ডাক দিয়েছে। ছোট বোনের উদ্বেগ, ‘মা তুমি বাইরে গেছ? পাচ্ছি না কেন?’ ‘আমি তো ঘরেই।’ ‘তোমাকে সৌদি আরব থেকে বড় ভাইয়া (আমি) ফোন করেছিল। তোমাকে না পেয়ে ভাইয়া অস্থির।’ ‘কেন?’ মায়ের প্রশ্নে অবাক হয়ে বোন বলে, ‘এই দুর্দিনে দেশের সবার জন্য প্রাণ কাঁদছে সবার। মা, তোমার কাছে যাব।’ বাবা,বোন,ছোট ভাই ভাবে, পৃথিবীর সব বাড়ির সামনে পথগুলো ঘুমিয়ে পড়েছে। এই ঘুম কবে ভাঙ্গবে??? মোহাম্মদ মামুনুল ইসলাম চৌধুরী সৌদি আরব, রিয়াদ

রক্ত দিয়ে রোজ ভাগ্য কেনাবেচা করি

Image
তুমি কেমন আছ দেশ? আমি ভালো আছি। এখানে প্রতিটা মুহূর্ত ভালো থাকতে হয়। আমি চিঠি লিখলাম সেজন্য ভেব না যে, প্রযুক্তির যুগে এটা আমার পাগলামি। আমি বিশ্বাস করি, চিঠি কথা বলতে পারে। জীবনের কথা, ভালোলাগার কথা, ভালোবাসার কথা, পিতা-মাতার সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কের কথা। এমনকি আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর কথা। আবার কখনো কখনো চিঠির একটি ভাষা থামিয়ে দিতে পারে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সকল আয়োজন। আমার তো প্রতিটা মুহূর্ত ভালো থাকার জন্য সংগ্রাম করতে হয়। এ সংগ্রাম নিজ জীবনের সাথে বাস্তবতার। অসুস্থ হয়ে পড়লে আপন ভেবে সেবাশুশ্রূষা দেবার কেউ নেই। নিজেই নিজের দেখাশোনা করতে হয়। আমরা যারা একসাথে থাকি সবাই আমার মতো কর্মব্যস্ত। এখানে এখন অনেক রাত। এ সময় তোমার কোলে সবাই গভীর ঘুমে বিভোর। আমি রাত জেগে আবোল-তাবোল কি যেন ভাবি। সেই ভাবনা থেকেই তো এই চিঠি লেখা। তাই বলে ভেবো না আমি ঘুম ভেঙ্গে সবসময় ছাইপাঁশ ভাবনা ভাবি। রাত জাগা আর ঘুম ভাঙ্গা এক রকম নয়, দেশ। জগতের চিন্তামুক্ত ও সুখি মানুষেরা ঘুমে বিভোর থাকে। তাই তো তাদের ঘুম ভাঙ্গে। আর যারা আমার মতো পরবাসী, তাদের কাছে রাত জাগা আর ঘুম ভাঙ্গার ব্যবধান অনে...

সরকারি সব অনুদান সেনাবাহিনীর অধীনেদেয়া হোক। সৌজন্যে:- জনগণ

Image
সরকারের প্রনোদনা ৭২,৭৫০ কোটি টাকা যদি ১৮ কোটি জনগনের মাঝে সমান ভাগে ভাগ করে বন্টন করা হয় তাহলে জনপ্রতি পাওয়ার কথা ৪০৪১.৬৬ টাকা। এখন দেখা যাক জনগন কত পায় ? #ও_হ্যা! আরেকটা হিসেব করা যাক! করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী । ধন্যবাদ মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের মোট ১৮ কোটি জনগন। প্রতি পরিবারের সদস্য সংখ্যা গড়ে তিনজন ধরা হলেও দেশে মোট পরিবারের সংখ্যা (১৮÷৩)=৬ কোটি। প্রত্যেক পরিবারের ১ মাসের খোরাক........ ৫০ কেজি চাল = ১৫০০ টাকা ৫ কেজি ডাল = ৩০০ টাকা ২.৫কেজি তেল= ২০০ টাকা ১০ কেজি আলু= ২০০ টাকা ৩ কেজি পিয়াজ= ১০০ টাকা নগদ-প্রদান (সবজির জন্য)= ৭০০ টাকা ___________________________ সর্বমোট = ৩০০০ টাকা ৬ কোটি পরিবার x ৩০০০ টাকা= ১৮,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে। রয়ে যাবে আরো ৫৪ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা যা দিয়ে অন্য সেক্টর গুলো সামলানো যাবে। প্রত্যেক পরিবারের ১ মাসের খোরাক দিয়ে সমস্ত বাংলাদেশ ৩০ দিনের জন্য লক ডাউন করে দেন। কোন পাতি নেতাকে এই দায়িত্ব না দিয়ে সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে, সেনাবাহিনী,পুলিশ,নৌবাহিনী,বর্ডা...

চার শিশু কন্যার কাঁধে পিতার মরদেহ

Image
 চার শিশু কন্যার কাঁধে পিতার মরদেহ। আর কেউ নেই। বার বার মিনতি করেও কাউকে পাশে পেলেন না অসহায় শিশুরা। আহ কি অমানবিক! কি নির্মম" কি মর্মান্তিক! কত বেদনা দায়ক! ঘটনাটি ভারতের আলীগড়ের। সেখানে অসুস্থ হয়ে এক ব্যক্তি মারা যান। নাম সঞ্জয় কুমার। বয়স মাত্র ৪৫ বছর। তিনি করোনা রোগি ছিলেন না। অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। এরপর মারা যান। উনি যে করোনা রোগি না সেটা জানার পরও এলাে না কেউ।এমনকি আত্মীয়রাও। প্রশাসনেরও সহযোগিতা পায়নি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর উপায়ান্তর না দেখে মরদেহ কাঁধে নিয়ে শ্মশানের দিকে রওনা দিলেন চার মেয়ে! বেশ খানিক দুরে শ্মশান। লকডাউনের কারণে গাড়ি নেই। হাতে টাকাও নেই।  চোখে পানি,কাঁধে পিতার লাশ, শ্মশানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে চার শিশু। মাঝে মাঝে কাঁধ থেকে লাশ নামিয়ে জিরিয়ে নেন। এরপর আবার শুরু হয় লাশ কাঁদে নিয়ে শ্মশান পানে যাত্রা। চোখের জলে শেষ বিদায় জানালেন চার মেয়ে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের এ খবরটি আমাকে বেশ ভাবাচ্ছে। করোনা কি আমাদের নির্দয়,নিষ্ঠুর করে ফেললো।

মাগো মা অনেক ভালোবাসি তোমায়

Image
দূর প্রবাস    মোহাম্মদ মামুনুল ইসলাম চৌধুরী সৌদি আরব,রিয়াদ মা, আমার ভালো লাগে না। আমি দেশে যাব। মা আমি তোমার কাছে যাব। তোমাকে খুব ছুঁতে ইচ্ছে করছে। খুব দেখতে ইচ্ছে করছে তোমাকে। কী ভীষণ একাকিত্ব মা আমার। কী ভীষণ একা আমি মা। জন্ম শৈশব পেরিয়ে আসা কোলাহলের শহরটায় খুব ফিরে যেতে ইচ্ছে করছে। আমার চারপাশে ভয়ংকর এক নীরবতা। তেমন শীত না থাকা শহরটায় যেন আরও গড়িয়ে পড়ছে হিমবরফ। মৃত্যুর হাতছানি আমার আশপাশে বেশ জোরালো। ওত পেতে অপেক্ষা করছে মৃত্যু তার নিয়মের ব্যস্ততায়। এমনিতেই  সারা বিশ্ব নিস্তব্ধত হয়ে আছে।সব দেশের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের সৌদি আরবে এর পাদুর্ভাব ঘটেছে।খুব চমৎকার সুন্দর ছিলো এই শহর। যেটুকুও মানুষের চলাচল ছিল এ শহরে। পৃথিবীতে মৃত্যু পরোয়ানা জারি হওয়ার পর থেকে গা শিউরে ওঠা নির্জনতা এখন সর্বত্র। শুধু হাতে গোনা কয়েকটি শপের সামনে কেবল মানুষের কিছুটা গন্ধ পাওয়া যায়। তা–ও কারও সঙ্গে কারও কথা নেই। শব্দ নেই, কোলাহল নেই। অবশ্য চেনা মানুষগুলোও চেনার উপায় নেই। কারণ, যেভাবে মাস্ক পরে সবাই সতর্ক। খুব খেয়াল করলে বোঝা যায়, এই নিরাপদ শহরের মানুষগুলোর চোখ আজ মৃত্যুভয়ে কেমন ...

মনুষ্যত্ব নির্বাসনে

Image
প্রকাশের সময়   শনিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২০, ২০ চৈত্র ১৪২৬, ০৮শাবান ১৪৪১ হিজরী মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। কিন্তু এই মানুষই আবার কর্মের কারণে বর্তমান সময়ে সৃষ্টির সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীব বলে পরিগণিত। যে মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ থাকে না, তাকে মানুষ বলা যায় না। মানুষ বলতে মানুষের ভেতর মানবীয় গুণ থাকতে হয়। মানবিক আচরণ থাকতে হয়। শুধুমাত্র মনুষ্যকূলে জন্ম নিলেই মানুষ হওয়া যায় না। মানুষ হতে হলে মানবিক গুণ, নৈতিকতা, সহিষ্ণুতা থাকতে হয়। চিন্তা-চেতনার বিকাশ, বিবেকবোধ, কান্ডজ্ঞান আর বিচার-বুদ্ধির ক্ষমতার কারণে মহান আল্লাহ তা’আলা মানুষকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। মানুষ মনুষ্যত্বের অধিকারী হবে সেটাই স্বাভাবিক। মানবতা বা মনুষ্যত্ববোধ না থাকলে মানুষ কখনই মানুষ নয়। কিন্তু বর্তমানে প্রাত্যহিক লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, উগ্রতা, স্বার্থপরতা, ক্রোধ প্রভৃতি কারণে মানুষের মনুষ্যত্ব হারিয়ে যাচ্ছে। এক কথায় মনুষত্ব আজ নির্বাসনে। এই পৃথিবীতে সন্তানের একমাত্র নিরাপদ আশ্রয়স্থল হল তার বাবা ও মা। একজন মানুষ যদি পৃথিবীর সব মানুষ কর্তৃক অবহেলিত হয় বা তার কাছে সুন্দর পৃথিবী যখন অন্ধকারে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে তখন হতাশার চা...

করোনা রোগী শনাক্তের পর চট্টগ্রাম নগরীর ৬ ভবন লকডাউন

Image
করোনা রোগী শনাক্তের পর নগরীর ৬ ভবন লকডাউন ৪ এপ্রিল, ২০২০ চট্টগ্রাম ব্যুরো 17 Shares  শেয়ার করুন চট্টগ্রামে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ওই ব্যক্তির বাসাসহ মোট ছয় ভবন লকডাউন করা হয়েছে। শুক্রবার ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে করোনা পরীক্ষার পর দামপাড়া এলাকার এক বাসিন্দার করোনা পজেটিভ আসে। তিনি বর্তমানে জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।   পুলিশ জানিয়েছে, দামপাড়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি দোতলা একটি ভবনের মালিক। তিনি ভবনটির দোতলায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকতেন। আর নিচ তলায় থাকেন তার ভাই এবং আরেকজন ভাড়াটিয়া। পুলিশ আরো জানান, ১২ মার্চ ওই ব্যক্তির মেয়ে ও তার শাশুড়ি ওমরা শেষে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর দিয়ে চট্টগ্রামে আসেন। মেয়ের শাশুড়ি সাতকানিয়া বাড়িতে চলে যান। আর মেয়ে তার বাসায় আছেন। সিএমপির দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ মো. আব্দুর রউফ জানান, দামপাড়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় তার বাসাসহ মোট ছয় ভবন লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। সেখানের বাসিন্দারা আপতত কেউ ভবন ছাড়তে পারবেন না co...

করোনাভাইরাস রোগ (কোভিড-১৯) নিজেকে ও অন্যকে সুরক্ষিত রাখার উপায়।

Image
অনুসন্ধান প্রবন্ধ করোনাভাইরাস রোগ (কোভিড-১৯) নিজেকে ও অন্যকে সুরক্ষিত রাখার উপায় ইউনিসেফ onlineblogBangladesh24     04 April 2020 কোভিড-১৯ যা করোনা ভাইরাস নামে পরিচিত   - সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমের শিরোনামে প্রাধান্য বিস্তার করেছে। এশিয়ার বিভিন্ন অংশ এবং এর বাইরেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করে আপনি এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ও বিস্তারের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারেন। কতটা ভয়ংকর এই ভাইরাস? শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে । কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। এর ফলে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অর্গান বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তবে খুব কম ক্ষেত্রেই এই রোগ মারাত্মক হয়। এই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে বয়স্ক ও আগে থেকে অসুস্থ ব্যক্তিদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। হোস্টেড সাইটে ভিডিও লিঙ্ক আমার কি মেডিক্যাল ...