Posts

Showing posts from July, 2020

আমার আমি

Image
এটাই ছিল এমন একটা সময় যখন থেকে আমি নিজেকে চিনতে-জানতে শুরু করেছিলাম। নিজের মধ্যে আমি সেই সময় কিছু অন্ধকার দিক খুঁজে পেয়েছিলাম, যেমন- কোন পরিস্থিতিকে যদি আমি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারতাম তাহলে সেই পরিস্থিতি আমার কাছে অসহ্য বলে মনে হত। আমি এখন উপলব্ধি করতে পারি যে নিজের বাড়ি থেকে দূরে থাকার কষ্ট ভোলার জন্য আমি অনেক উপায়, ব্যবস্থা অবলম্বন করার চেষ্টা করতাম। কিন্তু পরিস্থিতি এবং অভিজ্ঞতা দুটোই ছিল আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন। আর সেজন্যই আমার মধ্যে হতাশা জেগে উঠত। আমি যেখানেই থাকতাম সেখানেই আমি চেষ্টা করতাম নিজস্ব, স্বস্তিদায়ক একটা পরিবেশ গড়ে তুলতে।  এই জায়গাগুলো আমার কাছে সেই জায়গা ছিল যেখানে আমার নিয়ন্ত্রণ থাকত, আমি জোর গলায় বলতে পারতাম আমি এখানে খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি। একবার যখন আমি নতুন জায়গায় যেতাম তখন আমি উপলব্ধি করতাম যে আমায় অনেক বিষয়ের সঙ্গেই মানিয়ে নিতে হবে এবং সেগুলো অধিকাংশই অভ্যন্তরীণ। আমি কোন দিনও নতুন খাবারদাবার, নতুন সংস্কৃতি, নতুন মানুষজন নিয়ে তেমনভাবে ভাবনাচিন্তা করিনি। কিন্তু নিজের অন্তরে আমি একটা প্রশ্ন প্রায়শই নিজেকে করেছি যে আমি আসলে কে। আমি একটা বিষয় উপলব্ধি করেছি যে জ...

আমার আমি

Image
আমি অতি সাধারন একটা মানুষ ……… … পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের কিছু আশা-আকাংখা থাকে, থাকে সীমাহীন স্বপ্ন। যেখানে সে তার জীবনকে সাজায় একিবারে নিজের মতোকরে। আমারো তেমন একান্ত কিছু স্বপ্ন আছে, যা আমাকে ভালো কিছু করার প্রেরনা যোগায়। জীবনে কখনো প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেব মেলানোর চেষ্টা করিনি, হিসেব মেলানোর কোনো ব্যর্থ চেষ্টাও আমার নেই। যেকোনো মুহুর্তকে সহজে গ্রহন করার মানসিকতা লালন করি আমি, জীবনকে সব সময় বুঝতে চেষ্টা করেছি অতি-স্বাভাবিক ভাবে। বন্ধুরা বলে আমি নাকি বিপদেও হাসতে পারি, আমি আসলে আপদ-বিপদ এর অর্থ খুঁজিনা। আমি বুঝতে চেষ্টাকরি এই পৃথিবীতে যা ঘটমান, তার সবই স্বাভাবিক। এখানে অস্বাভাবিক অথবা হতেইপারেনা নামক শব্দের কোনো স্থান নেই। ক্রম পরিবর্তনশীল পৃথিবীর সাথে আমিও পরিবর্তীত হচ্ছি অনবরত। আমি এখনো বিশ্বাস করি এই পৃথীবিতে ভালো মানুষের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি, যারা খারাপ কাজে লিপ্ত তারা কেবলি পরিস্থিতির শিকার। সব সময় আশীর্বাদ করি জগতের সকল ভালো মানুষ সুখে থাকুক, অন্যায়কারীর বিবেক জাগ্রত হোক। সৌন্দর্য্য গুলো দেহ ছাড়িয়ে মন পর্যন্ত পৌছে যাক, শুভহোক সকল মঙ্গল প্রয়াস…

ভালোবাসা ও আবেগের দিন

Image
ভালোবাসা, নরম তুলোর মত আবেগে মোড়ানো, ভাষায় প্রকাশ না করতে পারা স্পর্শকাতর এক তীব্র অনুভূতির নাম। রঙ, রূপ, গন্ধবিহীন এই তীব্র অনুভূতির এক অদ্ভুত ক্ষমতা আছে, আর সেটি অপরের প্রতি তীব্র আকর্ষণ। এই আকর্ষণের শক্তি এতটাই প্রবল যার টানে অপরকে পাশে পেতে মানুষ ছুটে যায় বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে, জয় করে সকল প্রতিকূলতাকে, পরিশ্রান্ত ক্লান্ত মানুষ ব্যস্ততা, ক্লান্তি ভুলে প্রিয়জনকে বলে “ভালোবাসি, ভালোবাসি...’’ কখন, কীভাবে, কোন মুহূর্তে ভালোবাসা মানুষকে ছুঁয়ে যায়, তা হয়তো সে নিজেও পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারে না। কোন বাধায়, শাসনে তাকে আটকে রাখা যায় না, ভালোবাসা আসবেই। কবি হেলাল হাফিজের কবিতার ভাষায়,“কোনদিন, আচমকা একদিন ভালোবাসা এসে যদি হুট করে বলে বসে,-‘চলো যেদিকে দুচোখ যায় চলে যাই’,যাবে?’’ ভালোবাসা এমনই, বাঁধনহারা। রাজা-বাদশাহ, ধনি-গরিব, কবি-সাহিত্যিক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ প্রত্যেকের জীবনে ভালোবাসার মাতাল করা সুবাস ছুঁয়ে গেছেই। সারা  বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মহাসমারোহে এদেশেও পালিত হয় “ভালোবাসা দিবস’’। প্রেমিক মনের কথা ভাষায়, উপহারে, চিঠিতে, লজ্জাবনত প্রিয়জনের কাছে প্রকাশ করার আ...

"আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে"

Image
বাঙালির চেতনায় চিরায়ত কাল থেকেই সন্তানের কল্যাণ কামনার বার্তা স্পষ্ট। বাংলার মায়েরা সন্তানের মঙ্গলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ সত্ত্বা। বাড়িতে, পথে, স্কুলে, পেশায়, সঙ্কটে ও সমস্যায় সন্তানের বিপদ দেখলে সবচেয়ে আগে এগিয়ে যিনি, তিনি আর কেউ নন, মা জননী। বাংলার মায়েদের তুলনা করা হয় ছায়াদায়িনী মহাবৃক্ষের সাথে। পাখির নিরাপদ ডানায় অসহায় শাবককে আগলে রাখার প্রতীক হলেন মা। মা বাংলার শিশু-কিশোরদের প্রথম শিক্ষক, পথ-নির্দেশক, জীবনের নির্মাতা ও নিরাপত্তার সংরক্ষক। বাংলার কবি ও শিল্পীরা মায়ের অম্লান ছবি অঙ্কন করেছেন আস্থা, নির্ভরশীলতা ও আশ্রয় হিসাবে। মায়ের কণ্ঠ দিয়ে উচ্চারণ করিয়েছেন অমর ধ্বনিমালা, যা সন্তানের সার্বিক নিরাপত্তা, ভবিষ্যৎ, মঙ্গল ও কল্যাণের বার্তাবহ। বাংলার মাতৃকুল সন্তানের জন্য বরাভয়ের অপর নাম। 'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে', হলো সন্তানের কল্যাণ, নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মায়ের এক চিরন্তনী ভাষ্য। বহুল ব্যবহৃত হলেও অনেকের জানা নেই, কোন কবির কলম দিয়ে এই অমর লাইনটি রচিত হয়েছে। উদ্ধৃতিটির রচয়িতা মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ প্রতিভা ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর। এই রচনাটির পেছনে চমৎ...

ফিরে দেখা প্রবাস জীবন

Image
প্রবাসে পাড়ি জমাব, কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি। জীবিকার তাগিদে গৃহ পরিজন ছেড়ে অগত্যা পরবাসের খাতায় নাম লিখাতে হলো। প্রথমদিকে ব্যাপারটা বনবাসের মতোই লাগত। একজন প্রবাসী প্রতিদিনই নিত্যনতুন ঘটনার সম্মুখীন হয়, অভিজ্ঞতার ভান্ডারও বৃদ্ধি পেতে থাকে সেই সঙ্গে। এভাবেই কেটে গেছে বেশ কয়েকটি বছর। প্রবাস জীবন শিখিয়েছে কীভাবে কিভাবে আশপাশে ঘটে যাওয়া অনেক কিছুকেই এড়িয়ে জীবনযুদ্ধে এগিয়ে যেতে হয়। নিরাশার অতল গহ্বরে হারিয়ে যাওয়া ছেলেটা হাতে হাত চেপে, চোখের নোনাজলকে উপেক্ষা করে বলতে শিখেছে, ‘আমি ভালো আছি মা, তোমরা ভালো আছো তো? ’ ভালো রান্নার খাবারও পছন্দ না করা সেই ছেলেই তামিল ইডলি, বডে এমনকি অনেক অখাদ্যকে অমৃত সুধা মনে করে খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে। সকালে ঘুম থেকে উঠাতে যাকে বাড়িশুদ্ধ লোককে ডাকাডাকি করতে হতো, প্রবাসী হবার কারণেই তাকে সূর্যিমামার আগেই জেগে উঠতে হয়। কর্মজীবীদের খেতে হয় এমন খাবার জ্বর-ঠান্ডাকে পেছনে ফেলে রোদ-বৃষ্টি পেছনে ফেলে এগিয়ে যায় স্বউদ্যমে একসময় বন্ধুদের নিয়ে অস্থির জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছেলেকে অন্য এক অস্থিরতায় পেয়ে বসে, আর তা হলো বিদেশে আসার ধারদেনা ফেরত ...