Posts

Showing posts from April, 2020

তোমার কাছে যাবো মা

Image
বাড়ির সামনে পথ। ঘুমিয়ে পড়েছে। শান্ত, নির্জন, যানহীন, জনহীন। পথ যেন প্রতিকৃতি। তাকে দেখে সময়ের অবস্থা বোঝা যায়। বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বাবা,বোন,ছোট ভাই ভাবে, এই ঘুম কবে ভাঙবে? এ সময় মুঠোফোন বাজে। সাত সমুদ্রের ওপার থেকে বড় ছেলে মামুন (আমি) ডাক দিয়েছে। ছোট বোনের উদ্বেগ, ‘মা তুমি বাইরে গেছ? পাচ্ছি না কেন?’ ‘আমি তো ঘরেই।’ ‘তোমাকে সৌদি আরব থেকে বড় ভাইয়া (আমি) ফোন করেছিল। তোমাকে না পেয়ে ভাইয়া অস্থির।’ ‘কেন?’ মায়ের প্রশ্নে অবাক হয়ে বোন বলে, ‘এই দুর্দিনে দেশের সবার জন্য প্রাণ কাঁদছে সবার। মা, তোমার কাছে যাব।’ বাবা,বোন,ছোট ভাই ভাবে, পৃথিবীর সব বাড়ির সামনে পথগুলো ঘুমিয়ে পড়েছে। এই ঘুম কবে ভাঙ্গবে??? মোহাম্মদ মামুনুল ইসলাম চৌধুরী সৌদি আরব, রিয়াদ

রক্ত দিয়ে রোজ ভাগ্য কেনাবেচা করি

Image
তুমি কেমন আছ দেশ? আমি ভালো আছি। এখানে প্রতিটা মুহূর্ত ভালো থাকতে হয়। আমি চিঠি লিখলাম সেজন্য ভেব না যে, প্রযুক্তির যুগে এটা আমার পাগলামি। আমি বিশ্বাস করি, চিঠি কথা বলতে পারে। জীবনের কথা, ভালোলাগার কথা, ভালোবাসার কথা, পিতা-মাতার সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কের কথা। এমনকি আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর কথা। আবার কখনো কখনো চিঠির একটি ভাষা থামিয়ে দিতে পারে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সকল আয়োজন। আমার তো প্রতিটা মুহূর্ত ভালো থাকার জন্য সংগ্রাম করতে হয়। এ সংগ্রাম নিজ জীবনের সাথে বাস্তবতার। অসুস্থ হয়ে পড়লে আপন ভেবে সেবাশুশ্রূষা দেবার কেউ নেই। নিজেই নিজের দেখাশোনা করতে হয়। আমরা যারা একসাথে থাকি সবাই আমার মতো কর্মব্যস্ত। এখানে এখন অনেক রাত। এ সময় তোমার কোলে সবাই গভীর ঘুমে বিভোর। আমি রাত জেগে আবোল-তাবোল কি যেন ভাবি। সেই ভাবনা থেকেই তো এই চিঠি লেখা। তাই বলে ভেবো না আমি ঘুম ভেঙ্গে সবসময় ছাইপাঁশ ভাবনা ভাবি। রাত জাগা আর ঘুম ভাঙ্গা এক রকম নয়, দেশ। জগতের চিন্তামুক্ত ও সুখি মানুষেরা ঘুমে বিভোর থাকে। তাই তো তাদের ঘুম ভাঙ্গে। আর যারা আমার মতো পরবাসী, তাদের কাছে রাত জাগা আর ঘুম ভাঙ্গার ব্যবধান অনে...

সরকারি সব অনুদান সেনাবাহিনীর অধীনেদেয়া হোক। সৌজন্যে:- জনগণ

Image
সরকারের প্রনোদনা ৭২,৭৫০ কোটি টাকা যদি ১৮ কোটি জনগনের মাঝে সমান ভাগে ভাগ করে বন্টন করা হয় তাহলে জনপ্রতি পাওয়ার কথা ৪০৪১.৬৬ টাকা। এখন দেখা যাক জনগন কত পায় ? #ও_হ্যা! আরেকটা হিসেব করা যাক! করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী । ধন্যবাদ মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের মোট ১৮ কোটি জনগন। প্রতি পরিবারের সদস্য সংখ্যা গড়ে তিনজন ধরা হলেও দেশে মোট পরিবারের সংখ্যা (১৮÷৩)=৬ কোটি। প্রত্যেক পরিবারের ১ মাসের খোরাক........ ৫০ কেজি চাল = ১৫০০ টাকা ৫ কেজি ডাল = ৩০০ টাকা ২.৫কেজি তেল= ২০০ টাকা ১০ কেজি আলু= ২০০ টাকা ৩ কেজি পিয়াজ= ১০০ টাকা নগদ-প্রদান (সবজির জন্য)= ৭০০ টাকা ___________________________ সর্বমোট = ৩০০০ টাকা ৬ কোটি পরিবার x ৩০০০ টাকা= ১৮,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে। রয়ে যাবে আরো ৫৪ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা যা দিয়ে অন্য সেক্টর গুলো সামলানো যাবে। প্রত্যেক পরিবারের ১ মাসের খোরাক দিয়ে সমস্ত বাংলাদেশ ৩০ দিনের জন্য লক ডাউন করে দেন। কোন পাতি নেতাকে এই দায়িত্ব না দিয়ে সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে, সেনাবাহিনী,পুলিশ,নৌবাহিনী,বর্ডা...

চার শিশু কন্যার কাঁধে পিতার মরদেহ

Image
 চার শিশু কন্যার কাঁধে পিতার মরদেহ। আর কেউ নেই। বার বার মিনতি করেও কাউকে পাশে পেলেন না অসহায় শিশুরা। আহ কি অমানবিক! কি নির্মম" কি মর্মান্তিক! কত বেদনা দায়ক! ঘটনাটি ভারতের আলীগড়ের। সেখানে অসুস্থ হয়ে এক ব্যক্তি মারা যান। নাম সঞ্জয় কুমার। বয়স মাত্র ৪৫ বছর। তিনি করোনা রোগি ছিলেন না। অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। এরপর মারা যান। উনি যে করোনা রোগি না সেটা জানার পরও এলাে না কেউ।এমনকি আত্মীয়রাও। প্রশাসনেরও সহযোগিতা পায়নি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর উপায়ান্তর না দেখে মরদেহ কাঁধে নিয়ে শ্মশানের দিকে রওনা দিলেন চার মেয়ে! বেশ খানিক দুরে শ্মশান। লকডাউনের কারণে গাড়ি নেই। হাতে টাকাও নেই।  চোখে পানি,কাঁধে পিতার লাশ, শ্মশানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে চার শিশু। মাঝে মাঝে কাঁধ থেকে লাশ নামিয়ে জিরিয়ে নেন। এরপর আবার শুরু হয় লাশ কাঁদে নিয়ে শ্মশান পানে যাত্রা। চোখের জলে শেষ বিদায় জানালেন চার মেয়ে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের এ খবরটি আমাকে বেশ ভাবাচ্ছে। করোনা কি আমাদের নির্দয়,নিষ্ঠুর করে ফেললো।

মাগো মা অনেক ভালোবাসি তোমায়

Image
দূর প্রবাস    মোহাম্মদ মামুনুল ইসলাম চৌধুরী সৌদি আরব,রিয়াদ মা, আমার ভালো লাগে না। আমি দেশে যাব। মা আমি তোমার কাছে যাব। তোমাকে খুব ছুঁতে ইচ্ছে করছে। খুব দেখতে ইচ্ছে করছে তোমাকে। কী ভীষণ একাকিত্ব মা আমার। কী ভীষণ একা আমি মা। জন্ম শৈশব পেরিয়ে আসা কোলাহলের শহরটায় খুব ফিরে যেতে ইচ্ছে করছে। আমার চারপাশে ভয়ংকর এক নীরবতা। তেমন শীত না থাকা শহরটায় যেন আরও গড়িয়ে পড়ছে হিমবরফ। মৃত্যুর হাতছানি আমার আশপাশে বেশ জোরালো। ওত পেতে অপেক্ষা করছে মৃত্যু তার নিয়মের ব্যস্ততায়। এমনিতেই  সারা বিশ্ব নিস্তব্ধত হয়ে আছে।সব দেশের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের সৌদি আরবে এর পাদুর্ভাব ঘটেছে।খুব চমৎকার সুন্দর ছিলো এই শহর। যেটুকুও মানুষের চলাচল ছিল এ শহরে। পৃথিবীতে মৃত্যু পরোয়ানা জারি হওয়ার পর থেকে গা শিউরে ওঠা নির্জনতা এখন সর্বত্র। শুধু হাতে গোনা কয়েকটি শপের সামনে কেবল মানুষের কিছুটা গন্ধ পাওয়া যায়। তা–ও কারও সঙ্গে কারও কথা নেই। শব্দ নেই, কোলাহল নেই। অবশ্য চেনা মানুষগুলোও চেনার উপায় নেই। কারণ, যেভাবে মাস্ক পরে সবাই সতর্ক। খুব খেয়াল করলে বোঝা যায়, এই নিরাপদ শহরের মানুষগুলোর চোখ আজ মৃত্যুভয়ে কেমন ...

মনুষ্যত্ব নির্বাসনে

Image
প্রকাশের সময়   শনিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২০, ২০ চৈত্র ১৪২৬, ০৮শাবান ১৪৪১ হিজরী মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। কিন্তু এই মানুষই আবার কর্মের কারণে বর্তমান সময়ে সৃষ্টির সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীব বলে পরিগণিত। যে মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ থাকে না, তাকে মানুষ বলা যায় না। মানুষ বলতে মানুষের ভেতর মানবীয় গুণ থাকতে হয়। মানবিক আচরণ থাকতে হয়। শুধুমাত্র মনুষ্যকূলে জন্ম নিলেই মানুষ হওয়া যায় না। মানুষ হতে হলে মানবিক গুণ, নৈতিকতা, সহিষ্ণুতা থাকতে হয়। চিন্তা-চেতনার বিকাশ, বিবেকবোধ, কান্ডজ্ঞান আর বিচার-বুদ্ধির ক্ষমতার কারণে মহান আল্লাহ তা’আলা মানুষকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। মানুষ মনুষ্যত্বের অধিকারী হবে সেটাই স্বাভাবিক। মানবতা বা মনুষ্যত্ববোধ না থাকলে মানুষ কখনই মানুষ নয়। কিন্তু বর্তমানে প্রাত্যহিক লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, উগ্রতা, স্বার্থপরতা, ক্রোধ প্রভৃতি কারণে মানুষের মনুষ্যত্ব হারিয়ে যাচ্ছে। এক কথায় মনুষত্ব আজ নির্বাসনে। এই পৃথিবীতে সন্তানের একমাত্র নিরাপদ আশ্রয়স্থল হল তার বাবা ও মা। একজন মানুষ যদি পৃথিবীর সব মানুষ কর্তৃক অবহেলিত হয় বা তার কাছে সুন্দর পৃথিবী যখন অন্ধকারে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে তখন হতাশার চা...

করোনা রোগী শনাক্তের পর চট্টগ্রাম নগরীর ৬ ভবন লকডাউন

Image
করোনা রোগী শনাক্তের পর নগরীর ৬ ভবন লকডাউন ৪ এপ্রিল, ২০২০ চট্টগ্রাম ব্যুরো 17 Shares  শেয়ার করুন চট্টগ্রামে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ওই ব্যক্তির বাসাসহ মোট ছয় ভবন লকডাউন করা হয়েছে। শুক্রবার ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে করোনা পরীক্ষার পর দামপাড়া এলাকার এক বাসিন্দার করোনা পজেটিভ আসে। তিনি বর্তমানে জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।   পুলিশ জানিয়েছে, দামপাড়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি দোতলা একটি ভবনের মালিক। তিনি ভবনটির দোতলায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকতেন। আর নিচ তলায় থাকেন তার ভাই এবং আরেকজন ভাড়াটিয়া। পুলিশ আরো জানান, ১২ মার্চ ওই ব্যক্তির মেয়ে ও তার শাশুড়ি ওমরা শেষে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর দিয়ে চট্টগ্রামে আসেন। মেয়ের শাশুড়ি সাতকানিয়া বাড়িতে চলে যান। আর মেয়ে তার বাসায় আছেন। সিএমপির দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ মো. আব্দুর রউফ জানান, দামপাড়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় তার বাসাসহ মোট ছয় ভবন লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। সেখানের বাসিন্দারা আপতত কেউ ভবন ছাড়তে পারবেন না co...

করোনাভাইরাস রোগ (কোভিড-১৯) নিজেকে ও অন্যকে সুরক্ষিত রাখার উপায়।

Image
অনুসন্ধান প্রবন্ধ করোনাভাইরাস রোগ (কোভিড-১৯) নিজেকে ও অন্যকে সুরক্ষিত রাখার উপায় ইউনিসেফ onlineblogBangladesh24     04 April 2020 কোভিড-১৯ যা করোনা ভাইরাস নামে পরিচিত   - সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমের শিরোনামে প্রাধান্য বিস্তার করেছে। এশিয়ার বিভিন্ন অংশ এবং এর বাইরেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করে আপনি এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ও বিস্তারের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারেন। কতটা ভয়ংকর এই ভাইরাস? শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে । কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। এর ফলে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অর্গান বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তবে খুব কম ক্ষেত্রেই এই রোগ মারাত্মক হয়। এই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে বয়স্ক ও আগে থেকে অসুস্থ ব্যক্তিদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। হোস্টেড সাইটে ভিডিও লিঙ্ক আমার কি মেডিক্যাল ...

করোনাভাইরাস নিয়ে চীনের ডাক্তার আই ফেন সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, কোন সেন্সরগুলি মুছে ফেলার চেষ্টা করছে, মহামারী সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য উর্ধ্বতনরা কীভাবে তাকে তিরস্কার করেছিলেন।

Image
#covid19 #StayAtHome  The Guardian পত্রিকার প্রকাশিত খবর সম্পুর্ণ হুবহু তুলে ধরলাম। আই ফেন সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, কোন সেন্সরগুলি মুছে ফেলার চেষ্টা করছে, মহামারী সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য উর্ধ্বতনরা কীভাবে তাকে তিরস্কার করেছিলেন।  উওহানের এক ডাক্তার তার বেশ কয়েকজন সহকর্মীকে করোনভাইরাস থেকে মারা যাওয়ার পরে কথা বলেছেন, এবং একটি সাক্ষাত্কারের সেন্সরগুলিতে প্রাদুর্ভাবের প্রথম সতর্কতা দমন করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে ইন্টারনেট থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। চাইনিজ ম্যাগাজিন, রেনু বা পিপলকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে উহান কেন্দ্রীয় হাসপাতালের জরুরি পরিচালক ডিরেক্টর আই ফেন বলেছিলেন যে ডিসেম্বরে রোগীদের মধ্যে দেখা পাওয়া সরস-জাতীয় ভাইরাসের সংস্থাগুলি ও তার সহকর্মীদের সতর্ক করার পরে তাকে তিরস্কার করা হয়েছিল। এখন ভাইরাসটি তার হাসপাতালের চার চিকিৎসক সহ চীনের ভিতরে ৩,০০০ এরও বেশি লোকের জীবন দাবি করেছে, যার মধ্যে একজন হুইসেল ব্লোভার চক্ষু বিশেষজ্ঞ লি ওয়েনল্যাং ছিলেন, আই অন্যান্য কাজের সমালোচকদের চাকরীর ঝুঁকি নিয়ে পাশাপাশি আটক রেখেছিলেন,উহানের পরিস্থিতি সম্পর্ক...